,

ঘূর্ণিঝড়”রেমাল”মোকাবেলায় শ্যামনগরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা

এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় শ্যামনগরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৪ মে সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নাজিবুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদ-উজ-জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আয়ুব ডলি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সদর হাসপাতালের আর এমও ডা:সাদিউল ইসলাম,মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা,গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মাসুদুল আলম,কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আনিসুজ্জামান আনিস, পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম,এনজিও সমন্বয়ের সাধারন সম্পাদক গাজী আল ইমরান, সিপিপির উপজেলা টিম লিডার শেখ মাকসুদুর রহমান মুকুল সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা,সাংবাদিক,এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ,স্বেচ্চাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভার সভাপতি বলেন,বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়ে আমাদের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এই সময়ে, এই মৌসুমে একটি সাধারণ প্রস্তুতি আমাদের থাকেই। তার পরেও তিনি এই উপলক্ষে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা; জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীরা যেন নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করেন একই সঙ্গে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা; পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুত রাখা; দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৮৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য। এ ছাড়া জরুরি ত্রাণকাজে ব্যবহারের জন্য ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা মজুত রয়েছে।
সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুর ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *